Skip to main content

Posts

Recent posts
শুরুটা হয়েছিল মনে হয় ৪/৫ বছর বয়েসে, যখন বাবা খুব যত্ন করে cursive লেখা শিখিয়ে, একটা workbook এনে দিয়েছিল। প্রত্যেকদিন, বাবা অফিস থেকে ফেরার পর mandatory বাবার চুল টানা, গায়ে-পিঠে ওঠা, ইত্যাদি আহ্লাদ হয়ে গেলে বাবা বলত টুপরি-ভুপরি, এবার দেখি খাতা নিয়ে এসো, তুমি কেমন লেখাপড়া করেছো, যেদিন লাইনের বাইরে লেখা বেরোত না, রেখাগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যেত না, বাবা এই তো, আমার সোনা মেয়ে, ভালো মেয়ে বলে অনেক আদর করে দিত...তখন থেকেই মনে হয় এই সোনা মেয়ে, ভালো মেয়ে শোনার লোভ টা তৈরি হয়ে গেল...সব সময়  , প্রতিটি কাজে নিজেকে ভালো প্রমান করার এই যে প্রচেষ্টা করে যেতে হয়েছে এত দীর্ঘ বছর ধরে, আজ কেন জানি না মনে হয় এই validation/ approval পাবার তীব্র ইচ্ছে টা আসলে একটা মানসিক সমস্যাই বটে। একসময় ছেলে বন্ধুরা বাড়ি এলে বা তাদের বাইকে চেপে এদিক -ওদিক নিছক দরকারে গেলেও মনে হতো পাড়ার লোকজন দেখলে কি ভাববে, এই কি ভাববে ভেবে কতরকম সাজ সাজা হল না, কত প্রেম করা হল না, মাতাল হওয়া হল না, তার খবর কে রাখে! এখন মনে হয় সমাজ ইচ্ছে করে, বিশেষ করে মেয়েদের জন্যে কিছু নির্দিষ্ট template করে রেখেছে, যার কোনও একটায় তোমাকে খাপে খাপ ম

ছাদবিলাস এবং The Listeners

Add caption নিয়মিত লোডশেডিংর দাপটে ছোটবেলার সন্ধ্যাগুলো প্রায় ছাদেই কেটেছে, তাই ছাদে ঘুরে, শুয়ে-বসে ছাদ-বিলাসটা আমার মজ্জাগত হয়ে গেছে। তিমিরময় নিবিড় নিশাই হোক অথবা ঘুমে-জাগরনে মেশা জোছনার রাত, রাতের বেলা ছাদে পায়চারি করার একটা ঝিমঝিমে নেশা আছে। এই সময় চোখ কুঁচকে বহু বহু আলোকবর্ষ দূরে যে সব তারা জ্বলছে তাদের দেখার একটা ব্যর্থ চেষ্টা করি আমি। কিছু তারা ধরা দেয়, সেকেন্ডেরও ভগ্নাংশের জন্য, মাত্র একবারই। যে রাতে চাঁদ তার জোছনাকে সামলে রাখতে পারে না, সেই রাতে আমি ভেসে যাই রবীন্দ্রসঙ্গীতে, শরীর দিয়ে অনুভব করতে চাই কবির জোছনা রাতের গানগুলিকে। করোনার দৌলতে এখন ছাদে ওঠাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। চারপাশ এখন শব্দহীন হয়েছে, ক্রমাগত যান্ত্রিক তাণ্ডবের হাত থেকে সাময়িক মুক্তি মিলেছে। সেদিন সুপারমুন এর রাতে চারদিকটা যখন জোছনায় ঝিমঝিম করছে, একা ছাদে পায়চারী করছি, কেমন গা ছমছম করে উঠল। চারদিকে গাঢ় ধূসর সব অসমাপ্ত বহুতল, বনাশের খাঁচা গায়ে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একগলা শূন্যতায় ডুবে আছে যেন। কিছুদিন আগেও সারাদিন, সারারাত আলো জ্বেলে কাজ হতো এখানে। এখন ভাসান শেষে পরিত্যক্ত কাঠামোর মতো পরে আছে। আর কি

মাটি ছুঁয়ে mindfulness

"দেখো শতভিষা, হুইলের কাজে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল centering. Centering ঠিক না হলে তুমি হুইলে কিছুই করতে পারবে না।" একদলা মাখা মাটির তাল নিঁখুত ভাবে পটার'স হুইলের ঠিক মাঝখানে ধপ্ করে বসিয়ে দিলেন জুঁই দি। আমার পটারি-গুরু। ঘুরঘুর করে চাকা ঘুরতে শুরু করল, দুই হাতে জল মেখে নিয়ে কীভাবে দুই হাতের আঙুলের আলতো ভিজে আদরে মাটিকে ছুঁয়ে, তার কেন্দ্র বরাবর চাপ বাড়িয়ে তার গোপন রহস্য উন্মোচন করার মতো তাকে ধীরে ধীরে খুলতে হবে, আবার দুই আঙুলের দক্ষ চাপে তাকে উপরে তুলে ধরতে হবে, যেমন সাপুড়ে র বাঁশীতে ফণা তোলে সাপ, দিতে হবে পছন্দের আকৃতি, দেখিয়ে দিয়ে জুঁই দি ছলে গেলেন ঘরের অন্য প্রান্তে। গভীর মগ্নতায় নিজের কাজে ডুব দিলেন। আর মাখা মাটির তাল নিয়ে জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করলাম আমি। যে অধ্যায়ের প্রতি পাতায় লেখা আছে জীবনের গভীর বাণী, যা কাজে বসলেই কিছু না কিছু শিখিয়ে চলে। এই শেখার কোনও শেষ নেই। মাটির কাজ হল mindfulness-র একটি যথার্থ উদাহরণ। Mindfulness, যা এখন প্রতিটি ম্যানেজমেন্ট কোর্সে গুরুত্ব দিয়ে পড়ান হয়, মাটি কত অবলীলায় তার পাঠ দেয়, বিনা পয়সায়। মনের চাপ, উদ্বিগ্নতা